তিতুমীর কলেজ : সময় শেষ, এবার সড়ক অবরোধের পালা

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে অনশনে বসা অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টার মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় গঠনসহ সাত দফা দাবি পূরণ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আওতাধীন এলাকায় ব্যারিকেড কর্মসূচি শুরু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা।
গতকাল রাত ১১টায় জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বিকাল ৪টার মধ্যে আমাদের সাত দফা দাবি মেনে না নিলে এবং তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়া হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি পালন করা হবে। এই কর্মসূচির আওতায় রেল ও সড়কপথ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এদিকে গতকাল মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করতে কলেজের দুটি ছাত্রীনিবাস থেকে বেরিয়ে ঝটিকা মিছিল করেছেন শতাধিক নারী শিক্ষার্থী। এ সময় তারা অনতিবিলম্বে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
উল্লেখ্য, তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। ৫ আগস্ট সরকারের পটপরিবর্তনের পর তাদের এই আন্দোলন আরও বেগবান হয়।
শিক্ষার্থীরা গণসই, মিছিল, স্মারকলিপি প্রদান, সড়ক-রেলপথ অবরোধ, ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়। তবে ইতিবাচক কোনও সাড়া না পেয়ে গত ২৯ জানুয়ারি বিকাল থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান তারা।
শিক্ষার্থীদের ৭ দাবি
১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।
২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে।
৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিষয় ‘আইন’ এবং ‘জার্নালিজম’ সংযোজন করতে হবে।
৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।
৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।
আপনার অনুভূতি কি?






