কে এই তুলসী গ্যাবার্ড?

নভেম্বর 17, 2024 - 17:14
ডিসেম্বর 4, 2024 - 14:58
 0
কে এই তুলসী গ্যাবার্ড?
আর্কাইভ থেকে

একসময় ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্য। রাজনীতি করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে, পরে রিপাবলিকান পার্টিতে যোগ দেন। এখন সদ্য-নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্পাই চিফ হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। তাঁর নাম তুলসী গ্যাবার্ড।

জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের দায়িত্ব পেলে তুলসী গ্যাবার্ড সবার জন্য ‘গর্ব’ করার মতো মানুষ হয়ে উঠবেন বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। এখন তুলসীর সামনে শুধু সিনেটে অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষা। মার্কিন সিনেটের সমর্থন পেয়ে উতরে গেলে তিনি নিশ্চিতভাবে গোয়েন্দা পরিচালকের দায়িত্ব বুঝে পাবেন।

দৃশ্যত গোয়েন্দাগিরির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা নেই তাঁর। তবে এসপিওনাজ জগতের সাথে সম্পৃক্ত অনেকে বলেন, গোপন কয়েকটি মার্কিন মিশনে ইতোমধ্যে সম্পৃক্ত ছিলেন তুলসী। দুই দশকের বেশি সময় ধরে মার্কিন বাহিনীতে একজন সেনাসদস্য হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। কুয়েত ও ইরাক যুদ্ধের সময় দেশ দুটিতে তাঁকে মোতায়েন করা হয়েছিল।

এছাড়া দুই বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক কমিটির সদস্যও ছিলেন তুলসী।

২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন কংগ্রেস সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তুলসী। ২০২০ সালের নিজ দল থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়ান। আর ২০২২ সালে দল ছাড়েন তিনি। তখন অভিযোগ করে তুলসী বলেছিলেন, ডেমোক্রেটিক পার্টি ‘যুদ্ধবাজদের’ আধিপত্যে চলছে।

তুলসী গ্যাবার্ড বিয়ে করেছেন আব্রাহাম উইলিয়ামস নামের একজন সিনেমাটোগ্রাফারকে। তুলসীর বাবার নাম মাইক গ্যাবার্ড।

ডেমোক্রেটিক পার্টি ছাড়ার পর ২০২২ সালেই রিপাবলিকান শিবিরে যোগ দেন তুলসী। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। গত সেপ্টেম্বরে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিতর্কের প্রস্তুতি নিতেও ট্রাম্পকে সহায়তা করেছিলেন তিনি।

নামের কারণে তুলসী গ্যাবার্ডকে অনেকেই ভারতীয় বলে মনে করেন। তবে ভারতের সঙ্গে তাঁর কিন্তু কোনো সম্পর্ক নেই। তুলসীর মা হিন্দু মতাদর্শে দীক্ষা নেন এবং তাঁর সব সন্তানের হিন্দু নাম দেন। তুলসীও নিজেকে হিন্দু হিসেবে পরিচয় দেন। নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) -এর অনুষ্ঠানগুলোয়। বাংলাদেশ, পাকিস্তান সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হিন্দুদের উপরে চলমান নির্যাতন নিয়ে অত্যন্ত স্পষ্ট ও সরব তিনি।

মার্কিন কংগ্রেসে তিনিই প্রথম হিন্দু সদস্য। আইনপ্রণেতা হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার সময় ভগবদ্গীতা হাতে শপথ নিয়েছিলেন তিনি।

আপনার অনুভূতি কি?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow