জনগণের মধ্যে এখন অবিশ্বাস ও অনাস্থার সৃষ্টি হচ্ছে

১৭ বছর ধরে মানুষ ভোটাধিকার ও স্বাধীকার ফিরে পাওয়ার জন্য রক্ত দিয়েছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া ছাড়া বর্তমান সরকারের অন্য কিছুতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করা সন্দেহজনক। জনগণের মধ্যে এখন অবিশ্বাস ও অনাস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। ষড়যন্ত্র থাকবে, এটা রাজনীতিরই চরিত্র। রাজনৈতিক সমাধান রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া ভালো।
আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীন বাংলা মাদকবিরোধী কল্যাণ সোসাইটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ কখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে না। জনগণ কিন্তু আমাদের চাইতে বেশি বোঝে। এখন জনগণ কী চাইছে, সেটা অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে চাইছে না। দেশের তরুণ সমাজ কেন বিদেশে পাড়ি দিতে চায়? কারণ আমরা দেশটাকে বসবাসের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারিনি। দেশে ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। অথচ এটা জনগণের মৌলিক অধিকার।’
তিনি আরো বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটা নিয়ে সমালোচনা করার কিছু নেই। আমরাও যে ৩২ দফা দিয়েছি, সেটা যে ৩২ দিনেই বাস্তবায়িত হয়ে যাবে, তা নয়। কিন্তু সে সংস্কারের সূচনা তো করতে হবে। কোনও কাজ যদি শুরু করা হয় তা শেষ করার লোক কিন্তু চলে আসবে। এক সরকার আসবে, আরেক সরকার যাবে, এটাই নিয়ম। তাই বলে কাজ এগোবে না, তার তো কোনও যৌক্তিকতা নেই।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, স্বাধীন বাংলা মাদকবিরোধী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সেলিম নিজামী, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার রুহুল আমিন প্রমুখ।
2930/3806/3828
আপনার অনুভূতি কি?






