ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র চলছে

ডিসেম্বর 5, 2024 - 03:15
ডিসেম্বর 5, 2024 - 03:17
 0
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র চলছে
ছবি: বাসস

"ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র চলছে" উল্লেখ করে তা রুখে দিতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি, একযোগে পেয়েছি। কোনো মতভেদের মাধ্যমে পাইনি, কাউকে ধাক্কাধাক্কি করে পাইনি। যারা আমাদের বুকের ওপর চেপে ছিল, তাদের বের করে দিয়েছি।’

আজ (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যৌথ সংলাপের শুরুতে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি এই বক্তব্য দেন। এরপরে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে সভায় উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলো। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে "ভারতের অপপ্রচার, হস্তক্ষেপ ও উসকানির বিষয়ে" শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে দলগুলো।

৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি, সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে একজন আইনজীবীকে হত্যার ঘটনা, বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী পাঠাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আরজি জানানো এবং সবশেষ আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে গতকাল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বিভিন্ন ইসলামপন্থী দল, বাম দলসহ ৩৫টির মতো রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা সূচনা ও সমাপনী বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন। পরে আইন উপদেষ্টা বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে রাজনৈতিক আদর্শের ভিন্নতা ছিল। তবে সবাই দেশের প্রশ্নে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।’

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাসদ (খালেক), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ জাসদ (রব), গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিসসহ অন্যান্য দল ও সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা সংলাপে অংশ নেন।

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ এসেও ফরেন সার্ভিস একাডেমির ফটক থেকে ফিরে যান। তাঁর সঙ্গে দলের মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদও ছিলেন। বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তালিকায় নাম না থাকায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে বেরিয়ে যান। কয়েকজন রাজনৈতিক সহকর্মী তাঁকে ফেরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

দেশের প্রশ্নে সবাই এক

বৈঠক শেষে আসিফ নজরুল সাংবাদিকদেরকে জানান, বৈঠকে সবাই মিলে একটি সমাবেশ করা, সবাই মিলে একটি পলিটিক্যাল কাউন্সিল করা, নিরাপত্তা কাউন্সিল করা সহ বিভিন্ন প্রস্তাব এসেছে। তবে সভার মূল সুর ছিল, আমাদের মধ্যে মত, পথ ও আদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে, অবস্থানে ভিন্নতা থাকতে পারে; কিন্তু দেশ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবাই এক। সবার ওপরে দেশ। এই রাজনৈতিক সমাবেশের মাধ্যমে এই বার্তা (সবাইকে) জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন: চিন্ময় ব্রহ্মচারীর ইস্যুতে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র

আসিফ নজরুল বলেন, বৈঠকে ভারতে বাংলাদেশবিরোধী বিভিন্ন তৎপরতা, আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ ইত্যাদির তীব্র নিন্দা জানানো হয়। তিনি বলেন, বৈঠকে এসবের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ ও সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে এবং সরকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়েছে। বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালীভাবে সরকারকে বিষয়গুলো মোকাবিলা করার কথা বলা হয়েছে। এজন্য প্রবাসী বন্ধু ও অন্য বন্ধুরাষ্ট্রের সহযোগিতা নেওয়া এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের যোগাযোগ দক্ষতা ও আইনি দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শও এসেছে।

আসিফ নজরুল বলেন, বৈঠকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের হওয়া চুক্তিগুলো প্রকাশ করা এবং রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতি ভারতের যে অর্থনৈতিক নিপীড়ন, সাংস্কৃতিক আধিপত্যবাদের যে চেষ্টা, অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপের যে চেষ্টা, তার নিন্দা জানিয়েছেন উপস্থিত রাজনীতিবিদেরা। পাশাপাশি তাঁরা ভারতকে মর্যাদাশীল এবং সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

৬৪ জেলায় একটি করে সম্প্রীতি সমাবেশ করার প্রস্তাব এসেছে উল্লেখ করে সরকারের আইন উপদেষ্টা আরও জানান, ভারত বাংলাদেশবিরোধী যে বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছে, সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে বৈঠকে। পাশাপাশি যেকোনো উসকানির মুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, সবাই বলেছেন, আমাদের আর শক্তিহীন, দুর্বল ও নতজানু ভাবার কোনো অবকাশ নেই। যেকোনো ধরনের অপপ্রচার ও উসকানির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব, সাহসী থাকব।

সবাই মিলে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব

বৈঠকে বিএনপির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। এর নেতৃত্ব দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বৈঠক থেকে বের হয়ে তিনি বলেন, এই যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির যে অপচেষ্টা হচ্ছে, আমরা সরকারের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেছি। জনগণ যেভাবে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছে, তাদের এবং তাদের যারা সহযোগিতা করছে, তাদের ষড়যন্ত্রকে সেভাবেই আমরা সবাই মিলে মোকাবিলা করব।

এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বলেছি অতি দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার; যাতে জনগণ একটি রোডম্যাপ পেয়ে নির্বাচনমুখী হয়ে গেলে এসব ষড়যন্ত্র আর কেউ করতে সাহস পাবে না।

বিএনপির প্রতিনিধিদলে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ধর্মকে ব্যবহার করে দেশে বিভক্তি সৃষ্টির পেছনে বাইরের শক্তির প্রভাব, দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা প্রশ্নবিদ্ধ করার মতো ঘটনা এভাবে অতীতে কখনো ঘটেনি। ফলে দেশের স্বাধীন অস্তিত্বের প্রশ্নে এর বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য থাকতে হয়, সেটাই হয়েছে। এই সংলাপে জাতীয় ঐক্যের একটা শো আপ হয়েছে। কারণ, এ ব্যাপারে কারও কোনো দ্বিমত থাকার সুযোগ নেই।

সবকিছুর ঊর্ধ্বে দেশ

বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বৈঠক শেষে জামায়াতের আমির সাংবাদিকদের বলেন, ভিন্ন মত, ভিন্ন আদর্শ সবকিছুর ঊর্ধ্বে দেশ। একটি জায়গায় সবাই একমত হয়েছি, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোনো ছাড় নয়।

তিনি আরো বলেন, আগামীর বাংলাদেশ গঠনে পথে পথে বিভিন্ন অন্তরায় দেখতে পাচ্ছি। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ, তাদের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক চাই। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ভূমিকা ছিল অত্যন্ত উসকানিমূলক, অসহিষ্ণু এবং অগ্রহণযোগ্য। আমরা এগুলোর নিন্দা জানিয়েছি।

ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে ডা. শফিক বলেন, দেশের ভাবমূর্তি যারা নষ্ট করছে, তাদের বোঝাতে হবে, তোমরা আমাদের প্রতিবেশী। আমরা ভালো থাকলে তোমরাও ভালো থাকবা। জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী দিনের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে। চূড়ান্ত সফলতা অর্জন না করা পর্যন্ত আমাদের ঐক্য অটুট ও মজবুত থাকবে।

অন্য নেতারা যা বললেন

বৈঠকে গণতন্ত্র মঞ্চের ছয় শরিক দলের সবাই অংশ নেয়। এই জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত সব চুক্তি খোলাসা করতে হবে। যেসব চুক্তি আমাদের স্বার্থের পরিপন্থী, সেগুলো বাতিল করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো এ প্রস্তাব দিয়েছে। সরকারও এ বিষয়ে একমত হয়েছে। জাতীয় স্বার্থে দেশের সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ আছে।

এই জোটের নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতসহ অনেক দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে একটা অসত্যের যুদ্ধ চলছে। বলেছি, সত্য দিয়ে এই যুদ্ধ মোকাবিলা করতে হবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। সাম্প্রদায়িক উসকানির বিরুদ্ধে সব ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এই সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে।

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর অংশীজনদের নিয়ে আগামী দুই বছরের জন্য একটি জাতীয় সরকার গঠন করা এবং দেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে আগামী ছয় মাসের জন্য সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব এসেছে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের আত্মমর্যাদাপূর্ণ ও সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে দেশের সব রাজনৈতিক দল সংহতি প্রকাশ করেছে।

আরো পড়ুন: সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে ইইউ উদ্বিগ্ন

বৈঠকে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সিপিবি'র সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বাসদের উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, এবি পার্টির সদস্য-সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও যুগ্ম সদস্য-সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সভাপতি মোশরেফা মিশু বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে আরও অংশ নেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) শহীদউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ জাসদের শরীফ নুরুল আম্বিয়া, নাজমুল হক প্রধান ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের ফয়জুল হক লালা, জাতীয় দলের এহসানুল হুদা, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের (একাংশ) নুরুল আমিন ব্যাপারী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের রফিকুল ইসলাম বাবলু, খেলাফত মজলিসের আবদুল বাসিত আজাদ ও জাহাঙ্গীর হোসেন, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের আবদুর রব ইউসুফী ও মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, এনপিপি'র ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ এলডিপি'র মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুর রকিব, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আজম খান ও মুফতি ফখরুল ইসলাম, গণ অধিকার পরিষদের (মসিউজ্জামান) সদস্যসচিব ফারুক হাসান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ববি হাজ্জাজ, জাগপার (একাংশ) রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, জাগপার খন্দকার লুৎফুর রহমান, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (মার্ক্সবাদী) হারুন চৌধুরী, এনডিপি'র আবু তাহের প্রমুখ।

এর আগে গত মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

আগামীকাল (৫ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা বসবেন বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে।


সূত্র: বাসস

আপনার অনুভূতি কি?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow